বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার ও নার্স নিতে চায় লিবিয়া

লিবিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে বেশকিছু চিকিৎসক, নার্স ও মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ নিয়ে লিখিত প্রস্তাব জমা দেয়ার কথা জানিয়েছে আগত প্রতিনিধিদলের কাছে।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

ঢাকায় নিযুক্ত লিবিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে একটি প্রতিনিধিদল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সাথে সাক্ষাৎ করে এমন আগ্রহের কথা জানান।

মন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে তিন শ্রেণীর লোক কিভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় পাঠানো যেতে পারে সে বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানাবেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেন।

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

মন্ত্রীর সাথে প্রতিনিধিদলের বৈঠকের সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ মুনিরুছ সালেহিন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো: শহিদুল আলম এবং ডাক্তার, নার্স ও মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান পাঠাতে আগ্রহী তিনটি রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের মধ্যে আজুর বেঙ্গল লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এএনজেড রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

সিনিয়র সচিব ড. আহমদ মুনিরুছ সালেহিনের সাথে গতকাল বিকেলে তার দফতরে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছে।

তারা মূলত বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার, নার্স নিতে চাচ্ছেন। আমরা তাদেরকে বলেছি আপনারা আগে বিষয়টি উল্লেখ করে আমাদের মন্ত্রণালয়কে লিখিভভাবে জানান।

প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ লিবিয়ায় বাংলাদেশের কর্মী যাওয়া দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল। গত বছরের শেষ দিকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশটিতে আবারো কর্র্মী যাওয়া শুরু হয়।

ইতোমধ্যে দেশটিতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর বৈধ ছাড়পত্র নিয়ে কর্মী যাচ্ছে।

২০২২ সালে ১৭২ জন শ্রমিক বহির্গমন ছাড়পত্র নিয়ে লিবিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। এর মধ্যে নভেম্বর মাসে ৭০ জন এবং ডিসেম্বর মাসে ৫৮ জন গেছেন।

প্রতিদিন লিবিয়াগামী শ্রমিকদের নামে জনশক্তি ব্যুরো থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র ইস্যু হচ্ছে বলে বিএমইটি সূত্রে জানা গেছে।

আরো পড়ুন

Naya Diganata

Loading...
,