ফেরত আসা ১৯ শ্রমিককে আবারো পাঠানো হলো মালয়েশিয়ায়

কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশে ফেরত পাঠানো ১৯ শ্রমিককে আবারো বিনা খরচে মালয়েশিয়ার নিয়োগকারী কোম্পানিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে গুলশানের জনশক্তি প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠান গ্রিনল্যান্ড ওভারসিস লিমিটেড।

বৃহস্পতিবার ভোররাতে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে এসব শ্রমিক ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে তাদেরকে বিদায় জানান গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজের জেনারেল ম্যানেজার মো: নজরুল ইসলাম।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রিনল্যান্ড ওভারসিসের পরিচালক মো: মফিজুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩টার দিকে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে ফেরত আসা ১৯ কর্মীর সাথে নতুন আরো ছয়জন কর্মী মিলিয়ে মোট ২৫ জনকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়। ফ্লাইটটি সকাল ৮টায় অবতরণ করেছে।

তাদেরকে বিমানবন্দর থেকে কোম্পানির প্রতিনিধিরা এসে নিয়ে গেছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা কমিটমেন্ট করেছিলাম বিনা টাকায় তাদের পাঠাব। সেটা করতে পেরেছি। এ জন্য ভালো লাগছে।

কাদের ভুলের কারণে বৈধ এসব শ্রমিক বিমানবন্দর থেকে ফেরত এসেছিলেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন কার ভুলের কারণে হয়েছে সেটা কিভাবে বলব? এখন বলতে পারেন এটা আমাদের কপালের দোষ।

 কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

যাক, আমরা ১৯ শ্রমিককে আবারো পাঠিয়েছি। তাদের কাছ থেকে পাঠানো বাবদ একটি টাকাও আমরা নেইনি। এর সাথে তাদের সবার গ্রাম থেকে ঢাকায় আসা যাওয়া, থাকা ও খাওয়ার সব খরচ আমাদের প্রতিষ্ঠান গ্রিনল্যান্ড ওভারসিস থেকে দেয়া হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ লিমিটেডের মাধ্যমে ২৯ জন শ্রমিক মালয়েশিয়ার এভারলেনটেন এসডিএন বিএইচডি কোম্পানিতে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।

ওই দেশের বিমানবন্দরে নামার পর ১০ শ্রমিককে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ প্রবেশের অনুমতি দিলেও বাকি ১৯ জনের তথ্য সার্ভারে পাওয়া না যাওয়ার কারণে দুদিন রেখে ১৭ ফেব্রুয়ারি ফিরতি ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরত পাঠিয়ে দেয় বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

ফেরত আসা কর্মীদের প্রসঙ্গে ওই সময় গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমাদের পাঠানো ২৯ কর্মীর মধ্যে মালয়েশিয়ার নিয়োগকারী কোম্পানি এয়ারপোর্টে কর্মীদের রিসিভ করতে গেলে তখন সেখান থেকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ১০ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেন। বাকি কর্মীদের সার্ভারে ডাটা সঠিক না পাওয়ার কারণে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

এটি একেবারেই অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলে, এই কোম্পানিতে এর আগেও আমরা ৪০ জন কর্মী পাঠিয়েছিলাম। এই কোম্পানিতে এবার আমাদের ছিল দ্বিতীয় ফ্লাইট।

সমস্যার বিষয়ে নিয়োগাকারী কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমাদের জানিয়েছিল, ফেরত যাওয়া ১৯ কর্মীর তথ্য সার্ভারে পাওয়া গেছে। এই কর্মীরা আবারো মালয়েশিয়ায় আসতে পারবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফেরত আসা কর্মীদের আবার মালয়েশিয়ায় পাঠাতে যে টাকা খরচ হবে তা গ্রিনল্যান্ড কোম্পানি পুরোটা বহন করবে। কর্মীদের কোনো টাকা খরচ করতে হবে না।

আরো পড়ুন

নয়াদিগন্ত

Loading...
,