মালয়েশিয়ায় অবৈধদের বৈধ হওয়ার সুযোগ

নানা কারণে মালয়েশিয়ায় অবৈধ হয়ে পড়া শ্রমিকরা সে দেশে বৈধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। লেবার রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামের আওতায় তাদেরকে এই সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

কোনো ধরনের অপরাধ কার্যক্রমের রেকর্ড নেই এমন কর্মীরা এই সুযোগ পেতে যাচ্ছেন।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এক দিন আগে রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম পুনরায় চালুর কথা জানানো হয়েছে।’

‘তবে অবৈধ হয়ে পড়া সেসব শ্রমিকই কেবল এই সুযোগ পাবেন যাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অপরাধ কার্যক্রমে জড়িত থাকার রেকর্ড নেই।’

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

‘কোন কোন খাত এবং কোন দেশের কর্মীরা এর আওতায় আসবেন সে বিষয়ে আমরা এখনও বিস্তারিত জানতে পারিনি। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ সেটি নির্ধারণ করে। বিস্তারিত জানতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’

এই প্রোগ্রামের ঘোষণায় মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইল বলেছেন,

‘এই প্রোগ্রামে সর্বনিম্ন ফি ধরা হয়েছে ১৫০০ রিঙ্গিত, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৮ হাজার টাকা। তার সঙ্গে মেডিকেল ও অন্যান্য ফি মিলিয়ে মোট খরচ হবে তিন হাজার রিঙ্গিতের মতো।’

গত বছর এই কর্মসূচির মাধ্যমে মালয়েশিয়া ৭০০ মিলিয়ন রিঙ্গিতের বেশি রাজস্ব আয় রেকর্ড করেছে বলে জানান তিনি।

মালয়েশিয়ায় বর্তমানে কতজন অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন তার সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই। তবে দূতাবাসের একটি সূত্র বলছে, এই সংখ্যা দেড় থেকে দুই লাখের মতো হতে পারে।

সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ায় লেবার রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামের তালিকায় বরাবরই শীর্ষে থাকে বাংলাদেশ।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ ধাপে এই রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ৪ লাখেরও বেশি শ্রমিক নিবন্ধন করেন বলে মালয়েশিয়ার সরকার জানায়।

মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, কালো তালিকাভুক্ত অর্থাৎ ইমিগ্রেশনে অভিযোগ রয়েছে এমন শ্রমিক এবং অপরাধের রেকর্ড রয়েছে এমন অভিবাসী ছাড়া যে কেউ এই লেবার রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন।

এ ক্ষেত্রে কর্মীর বয়স ১৮ থেকে ৪৯ বছর হতে হবে।

উৎপাদন, নির্মাণ, খনি ও খনন, নিরাপত্তারক্ষী, সেবা, কৃষি, বাগান এবং গৃহকর্মী- এই আটটি খাতে অবৈধ বিদেশি কর্মীদের বৈধভাবে নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

আর এসব কাজের জন্য ১৫টি ‘সোর্স কান্ট্রির’ কথা উল্লেখ করেছে মালয়েশিয়া, যার অন্যতম বাংলাদেশ।

মালয়েশিয়ায় কাজ করছেন কিন্তু সঠিক কাগজপত্র নেই এমন বিদেশি কর্মীরা এ কর্মসূচির আওতায় অর্থের বিনিময়ে বৈধভাবে কাজ করতে পারবেন অথবা দেশে ফেরত যেতে পারবেন।

মূলত নিয়োগকর্তারা ‘লেবার রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম (আরটিকে) ২.০’-এর মাধ্যমে বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদন শুরু করেছেন।

ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ পাওয়ার আগে সংশ্লিষ্টরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে মাত্র এক দিন। তারপর হবে বিদেশি কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, যা পরিচালনা করবে ফরেন ওয়ার্কার্স মেডিক্যাল এক্সামিনেশন মনিটরিং এজেন্সি।

পরবর্তী প্রক্রিয়ায় রয়েছে রিক্যালিব্রেশন ফি, ভিসা, অস্থায়ী কাজের ভিজিট পাস, প্রক্রিয়াকরণ ফি এবং শুল্ক প্রদান। সব নথি সম্পূর্ণ হওয়ার পর নিয়োগকর্তারা কাজের অনুমতিপত্র ইস্যু করেন।

আরো পড়ুন

NewsBangla24

Loading...
,