১৭ দিনে ১১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠালেন প্রবাসীরা

চলতি মাসের ১৭ দিনে ১১০ কোটি ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।

আগের বছরের একই মাস বা আগের মাসের প্রতিদিনের গড় রেমিট্যান্সের তুলনায় যা কম।

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

বৈধ চ্যানেলের তুলনায় হুন্ডির দরে পার্থক্য বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকে রেমিট্যান্স কমতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগের মাস মার্চে প্রায় ২০২ কোটি ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল।

দৈনিক রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল গড়ে ৬ কোটি ৫১ লাখ ডলারের মতো। আগের বছরের এপ্রিলে রেমিট্যান্স আসে ২০১ কোটি ডলার।

দৈনিক গড় রেমিট্যান্স ছিল ৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার। চলতি মাসের ১৭ দিনে গড়ে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে সে ধারা বজায় থাকলে পুরো মাসে মোট ২০০ কোটি ডলারের কম রেমিট্যান্স আসতে পারে।

 কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

সংশ্লিষ্টরা জানান, রমজান মাস ও ঈদের আগে পরিবারের খরচ, দান, সদকা, ফিতরা দেওয়ার জন্য সাধারণত বেশি অর্থ পাঠান প্রবাসীরা।

যে কারণে সব সময়ই ঈদের আগে ব্যাংকিং চ্যানলে রেমিট্যান্স বাড়ে। তবে চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনের গড়ের তুলনায় এবার পুরো মাসে রেমিট্যান্স কমবে বলে ধারণা করা যায়।

ব্যাংকাররা জানান, নানা কারণে মোট প্রবাসী আয়ের অর্ধেকের মতো আসে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে।

মাঝে কিছু ব্যাংক এক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দর ১০৭ টাকা ঘোষণা দিলেও ১১৩ টাকা পর্যন্ত দরে কেনা হয়। এর সঙ্গে আড়াই শতাংশ হারে সরকারি প্রণোদনা যোগ হয়ে সুবিধাভোগী পাচ্ছিলেন ১১৫ টাকার মতো।

অন্যদিকে হুন্ডিতে পাঠিয়েও মিলছিল ১১৫ থেকে ১১৬ টাকার মতো। একই রকম দরের পাশাপাশি হুন্ডি নিরুৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বিভিন্ন পদক্ষেপ চলমান আছে।

এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে টানা ছয় মাস পর গত মার্চে রেমিট্যান্স দুই বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়াকড়ির কারণে এপ্রিল থেকে বেশিরভাগ ব্যাংক ঘোষিত দরে ডলার কিনছে। এসব কারণে ঈদের আগেও ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় কমতে পারে।

আরো পড়ুন

সমকাল

Loading...
,