বিশ্বজুড়ে কমেছে আইফোনের বিক্রি

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ইউরোপ ছাড়া বিশ্বের প্রায় প্রতিটি বাজারে আইফোনের বিক্রি ১০ শতাংশ কমেছে। শুধু তাই নয়, সামগ্রিকভাবে অ্যাপলের পণ্য বিক্রি কমেছে বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলে। কোম্পানিটির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

প্রথম ত্রৈমাসিকের (জানুয়ারি-মার্চ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সময়ে অ্যাপলের পণ্য বিক্রি ৪ শতাংশ কমেছে। এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে বিক্রিতে সবচেয়ে বড় পতন এটি। মার্চ শেষে অ্যাপলের মোট বিক্রি কমে ৯ হাজার ৮০ কোটি ডলারে নেমেছে।

তবে আর্থিক প্রতিবেদনে বিক্রি কমার খবর প্রভাব কোম্পানিটির শেয়ারের দামে প্রভাব ফেলেনি বলে জানিয়েছে বিবিসি। গত শুক্রবার নিউইয়র্কের বাজারে লেনদেন শেষে অ্যাপলের শেয়ারদর ৬ শতাংশ বেড়েছে।

অ্যাপল বলছে, নতুন পণ্য উন্মোচন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগের মাধ্যমে আগামী মাসগুলোতে অ্যাপলের বিক্রি বাড়বে।

কাতারের সব আপডেট পেতে যুক্ত হোন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে

চীনের বৃহত্তর বাজারেও অ্যাপলের সামগ্রিক বিক্রি ৮ শতাংশ কমেছে। তবে আইফোনের বিক্রি চীনের ‘মূল ভূখন্ডে’ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করে বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক।

চীনের বাজারে হুয়াওয়ের মত স্থানীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে চাপের মুখে রয়েছে অ্যাপল।

ডিএ ডেভিডসনের সিনিয়র সফটওয়্যার বিশ্লেষক গিল লুরিয়া বলেন, ‘হুয়াওয়ের মতো কোম্পানিগুলো চীনে বেশি বিক্রি করছে কারণ ‘এগুলো দেশীয় ব্র্যান্ড’। তবে ফিচার, কার্যকারিতা ও প্রতিপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে এখনও অন্য যেকোনো হ্যান্ডসেটের চেয়ে এগিয়ে আছেআইফোনে। তাই গ্রাহকদের পছন্দ হলে ও সামর্থ্য থাকলে তারা আইফোনই কেনে। বিষয়টি চীনের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়।’

গত ছয় প্রান্তিকেই আইফোনের বিক্রি কমেছে। গবেষণা সংস্থা ক্যানালিসের মতে, দীর্ঘ সময় পর এই বছরের প্রথম প্রান্তিকে স্মার্টফোনের বিক্রি ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

লুরিয়া বলেন, প্রায় চার বছর আগে আইফোন ১২ চালু হওয়ার পর থেকে অ্যাপলের ‘হ্যান্ডসেটে উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ হয়নি। এই ফোনে অ্যাপল ৫জি নেটওয়ার্কের ফিচার যুক্ত করে যা অনেক গ্রাহককে নতুন ফোন কিনতে বাধ্য করে।

এ ছাড়া অ্যাপ স্টোর ফি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে অ্যাপল।

এ ছাড়া অ্যাপ স্টোর ফি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে অ্যাপল।
অ্যাপলের সাফারি ব্রাউজারে গুগলকে ডিফল্ট সার্চ করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গুগলের বিরুদ্ধে একটি পৃথক মামলা করা হয়েছে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গুগলকে ডিফর্ট সার্চ করার জন্য অ্যাপল কোম্পানিটি কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিচ্ছে। ২০২২ সালেই গুগল অ্যাপলকে ২ হাজার কোটি ডলার অর্থ দেয়।

কর দেওয়ার আগে প্রথম ত্রৈমাসিকে অ্যাপলের মুনাফা ছিল ২ হাজার ৮০০ কোটি। কোম্পানির শেয়ার পুনরায় কিনে নেওয়ার জন্য ১১ হাজার কোটি ডলার আলাদা করে রাখছে কোম্পানিটি।

জুন থেকে অ্যাপলের বিক্রি ‘একক অঙ্কে’ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে অ্যাপলের ফাইন্যান্স প্রধান লুকা মায়েস্ত্রি। কোম্পানিটি ব্যবসায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি প্রত্যাশা করেছিল। সাধারণত অ্যাপল এত তথ্য প্রকাশ করে না।

সিএফআরএ রিসার্চের সিনিয়র ইক্যুইটি বিশ্লেষক অ্যাঞ্জেলো জিনো বলেন, ‘চীন প্রত্যাশার চেয়ে এই খাতে ভালো করছে এবং সামনের বেশ কয়েকটি ইভেন্টের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব উন্নত করতে পারে।’

আরো পড়ুন

Ajker Patrika

Loading...
,