দোহায় হামাসের কার্যালয় বন্ধের চিন্তা করছে কাতার

কাতারে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে উপসাগরীয় রাষ্ট্রটি। কাতার সরকারের পুনর্মূল্যায়নের সাথে পরিচিত এক কর্মকর্তা শনিবার (৪ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাতারের ভূমিকা পর্যালোচনার অংশ হিসাবে, দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করে দিতে পারে কাতার সরকার। সেই সঙ্গে দীর্ঘ সাত মাস ধরে চলা এই যুদ্ধবিরতিতে কাতার মধ্যস্থতা চালিয়ে যাবে কিনা, সেই বিষয়টিও বিবেচনা করেছে দেশটি।

শুক্রবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, হামাস যদি ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয়, তাহলে দোহা থেকে যেন গোষ্ঠীটিকে বের করে দেওয়া হয়, সেই কথা কাতারকে জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রভাবশালী উপসাগরীয় রাষ্ট্র কাতারকে প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র মনে করে ওয়াশিংটন। অথচ গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে হামাসের সাথে সম্পর্কের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমালোচনার মুখে পড়েছে কাতার।

কাতারের সব আপডেট পেতে যুক্ত হোন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে

ইসরায়েলি জিম্মি মুক্ত করতে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে হামাসের ওপর কাতার চাপ প্রয়োগ না করলে, দেশটির সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করতে জো বাইডেনের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কিছু মার্কিন আইনপ্রণেতা।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও হামাসকে চাপ দিতে কাতারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কাতার এবং ইসরায়েলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই। তবে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে কাতার।

গত মাসে কাতার জানিয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসাবে নিজেদের ভূমিকার পুনর্মূল্যায়ন করছে তারা। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাতারের প্রচেষ্টাকে পয়েন্ট স্কোর করতে চাওয়ায়, তাদের ভূমিকার অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাতারের ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, কাতার যদি মধ্যস্থতায় না থাকে তাহলে দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় চালু রাখার কোনও মানে থাকবে না।

আরো পড়ুন

Bangla Tribune

Loading...
,