সৌদিতে ওষুধ শিল্প স্থাপনে বাংলাদেশকে অনুরোধ

সৌদি আরবের মন্ত্রীদ্বয় প্রধানমন্ত্রীকে দুই দেশের জনগণের সুবিধার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ওষুধ, পানীয় এবং রিয়েল এস্টেট শিল্প স্থাপনের অনুরোধ জানান।

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

সৌদি আরবে ওষুধ, পানীয় ও রিয়েল এস্টেট শিল্প স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির দুই মন্ত্রী।

কাতারের রাজধানী দোহায় মঙ্গলবার সফররত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ অনুরোধ করেন সৌদির বিনিয়োগবিষয়ক মন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিয়াহ এবং অর্থনীতি ও পরিকল্পনাবিষয়ক মন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম।

বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সৌদি আরব স্থিতিশীল সরকার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভালো রেকর্ড থাকায় বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বড় আকারের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।

সৌদির দুই মন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

সৌদির এক মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিনিয়োগকারী হিসেবে আমরা খুব কম ইস্যু দেখি। প্রথমত, দেশের স্থিতিশীলতা, ব্যবসায়ীরা স্থিতিশীল কি না, বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ খুবই ভালো এবং সে কারণেই আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

 কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল উপস্থিত ছিলেন।

আবদুল মোমেন জানান, সৌদির মন্ত্রীরা ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

তাদের উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নেতৃত্ব খুবই ভালো, দৃষ্টিভঙ্গি ভালো এবং তাদের প্রতিশ্রুতি খুবই ভালো। দেশে একটি স্থিতিশীল সরকার রয়েছে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খুবই ভালো।’

মন্ত্রী জানান, সৌদির মন্ত্রীরা কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন। তারা পতেঙ্গা বন্দরের জন্য কিছু করতে এবং এর পাশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করতে চান।

সৌদির মন্ত্রীদের উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরব বাংলাদেশকে তার ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কারণ দেশটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অবস্থিত।

‘আমরা যদি এটিকে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলি, তাহলে আমরা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং আরও অনেক দেশ কভার করতে পারব।’

দুই মন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশে পেট্রোকেমিক্যাল, ডিজেল, জেট ফুয়েল, সার এবং প্রধান বিতরণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি শিপিং লাইন করতে চান।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এরই মধ্যে অনুমতি দিয়েছেন এবং অবিলম্বে এগুলো চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ সহজ করতে কোনো বাধা থাকলে তা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

সৌদি আরবও পারস্পরিক সুবিধার জন্য কৃষির মতো বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে চায়।

হজ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার সময় উভয় মন্ত্রী সৌদি আরবে আবাসন ও হাসপাতাল নির্মাণে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেন।

সৌদি আরবের মন্ত্রীদ্বয় প্রধানমন্ত্রীকে দুই দেশের জনগণের সুবিধার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ওষুধ, পানীয় এবং রিয়েল এস্টেট শিল্প স্থাপনের অনুরোধ জানান।

সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী ও অর্থনীতিমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির ভিশন-২০৩০-এর লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

তারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ বস্ত্র ও তৈরি পোশাকের দিক দিয়ে বিশ্বের রাজধানী হয়ে উঠেছে।

আরো পড়ুন

NewsBangla

Loading...
,